টুডে সিলেট ডেস্ক
প্রকাশ : May 28, 2025 ইং
অনলাইন সংস্করণ

সব মামলায় খালাস তারেক রহমান

দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এর মধ্য দিয়ে সব মামলায় দণ্ড ও সাজামুক্ত হলেন তারেক রহমান।

গত সোমবার শুনানি শেষে আপিলের রায় দিতে ২৮ মে দিন ধার্য করেছিলেন উচ্চ আদালত। আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আপিলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল করিম।আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, যে সম্পত্তিগুলো তারেক রহমানের নামে দেখানো হয়েছে, একটাও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত না, অসাধু না। একটা টাকা বা একটা সম্পত্তিও বাংলাদেশের বাইরে না। বাংলাদেশের বাইরে এ পরিবারের কোনো ঠিকানা নেই।

তিনি আরও বলেন, সেনানিবাসে মইনুল রোডের বাড়িটি শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে দেওয়া হয়েছিল। সেটাও এ মামলায় দুদক বলছে, এটা তারেক রহমানের অর্জিত সম্পদ এবং এটা অবৈধ সম্পদ। অথচ এটা সরকার নিয়মকানুন মেনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। আরেকটা সম্পত্তি আছে গুলশানে। সেটাও রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়া। ৩৩ টাকা মূল্যমানের। অথচ মামলায় তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়েছিল। বিচারের নামে এ রকম প্রহসন আমি আমার ওকালতি জীবনে দেখিনি।

গত ১৪ মে ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জরিমানা স্থগিত করে ওইদিন আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়।

গত ১৩ মে আপিল দায়েরে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেন হাইকোর্ট। বিলম্ব মার্জনার পর ডা. জুবাইদা রহমান সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদকএ মামলার বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমানকে দুই ধারায় মোট নয় বছর এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারায় তারেক রহমানকে তিন বছর এবং ২৭ (১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

জুবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।

২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন ডা. জুবাইদা রহমান। ১৭ বছর পর চলতি বছরের ৬ মে শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আ.লীগ আমলের সব নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণার দাবি এনসিপির

1

অগ্নিকাণ্ডের ৫ দিন পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশ

2

ছাতকে কাজী আরিয়ানা জিসান উমাইয়া একাডেমিতে ল্যাপটপ, স্কুল ব্য

3

ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরির বিক্রয় দরপত্রে সর্বোচ্চ দরদাতার পে–অ

4

সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশটাকে গড়তে হবে: তারেক রহমান

5

রান নেই–উইকেট নেই, তবু ম্যাচসেরা

6

ঈদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক টহল টিম থাকবে সিলেট

7

বিসিসির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল নির্বাচন কমিশন

8

আজ দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, পথে পথে অভ্যর্থনা জানাবেন নেতাকর

9

নিজের প্রাণ নিলেন এক যুবতী

10

এক যোগ পর ভাইয়ের বাসায় একান্তে সময় কাটালেন খালেদা জিয়া

11

জগন্নাথপুরে বাড়ির দেয়াল ভাংচুর নিয়ে উত্তেজনা

12

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা জবি শিক্ষার্থীদের

13

এআইইউবিতে চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত

14

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেটের নির্বাচন সম্পন্ন

15

সিলেটে সুনামগঞ্জ সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন

16

ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করলেই কঠোর শাস্তি: আইন উপদেষ্টা

17

ওসমানী মেডিকেল এলাকায় রিক্সাচালক-অটোরিক্সা চালক সংঘর্ষ

18

হাওরে ফসল শেষ, খুলে দেওয়া হলো সুইচগেট – মাছ ধরার প্রস্তুতি

19

সাংবাদিকতা পেশায় রাজনৈতিক দলবাজি বন্ধ করা দরকার: সংস্কার কমি

20