আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে নগরে ৬টি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমতি দেবে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। ইতোমধ্যে অস্থায়ী পশুর হাটের দরপত্রও আহবান করেছে নগর কর্তৃপক্ষ। যদিও দরপত্র প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন্ন হয়নি, কিন্তু তার আগেই প্রভাব প্রতিপত্তি দেখিয়ে হাটগুলো দখলে নিতে তৎপর একটি প্রভাবশালী মহল। এরই মধ্যে নগরের টিলাগড়স্থ প্রস্তাবিত অস্থায়ী পশুর হাটটি দখলে নিয়েছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা।
কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, যারা দরপত্র সম্পন্ন হওয়ার আগেই পশুর হাট দখলে নিচ্ছে, দরপত্র প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতেই এসব কর্মকান্ড করছেন। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন কোনোভাবেই দরপত্র প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে দেবে না। যারা অবৈধভাবে হাট দখলের চেষ্টা করবে, তাদেরকে ছাড় দেবে না সিসিক। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিসিকের তথ্য মতে, আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে ৬টি অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা চূড়ান্ত করতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। নগরের মাছিমপুর কয়েদীর মাঠ, শাহপরান মাজার গেইট, টিলাগড় পয়েন্ট, মেজরটিলা বাজার, তেমুখী পয়েন্ট ও মিরাপাড়া আব্দুল লতিফ স্কুল সংলগ্ন মাঠে এই পশুর হাটগুলো বসবে। মঙ্গলবার (২৭ মে) দরপত্র দাখিলের শেষ দিন। সিটি করপোরেশনের ইজারা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জমাদানের শেষ তারিখ বিকলে দরপত্র খোলা হবে। এরপর সর্বোচ্চ দরদাতাকে দেওয়া হবে হাটের ইজারা।
কিন্তু ব্যতিক্রম চিত্র নগরের টিলাগড় পয়েন্টের প্রস্তাবিত পশুর হাটের। ইজারার দরপত্র সম্পন্ন হওয়ার আগেই সেখানে হাটের গর্ত ভরাট, ঘাস পরিষ্কার ও প্যান্ডেল টানানোর কাজ শেষ করেছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী। এমতাবস্থায় দরপত্রে সর্বোচ্চ মূল্য দিয়েও হাটের ইজারা পাবেন কি-না, সেই শঙ্কায় ভুগছেন দরপত্রে অংশ নেওয়া বাকি ইজারাদাররা।
সিটি কর্পোরেশন বলছে, যে বা যারা টেন্ডার পাবে, তারাই টেন্ডার নিয়ে কাজ শুরু করবে। যারা দখল করে কাজ করছে, তারা তো টেন্ডার নাও পেতে পারেন। তাই যারা ইজারা পাবে, তারা যাতে হাটের দখল নির্বিঘ্নে নিতে পারে, সেই ব্যবস্থা নেবে সিটি কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে মাকসুদ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, টিলাগড় পয়েন্টের গরুর হাটের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না। এখানে আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ এই কাজ করে যাচ্ছে।
জানতে চাইলে সিলেট সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, দরপত্র সম্পন্ন হওয়ার পর যারা সর্বোচ্চ দরদাতা হবেন, তারাই ৬টি হাটের ইজারা পাবেন। দরপত্র পাওয়ার আগে যে বা যারা হাট দখল করছেন, দরপত্র সম্পন্ন হওয়ার পর যিনি ইজারা পাবেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে তাকে হাট বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এরপরও কেউ যদি ঝামেলা করেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন