সিলেটে ছিনতাইয়ের মিথ্যা অভিযোগে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে এক যুবক নিজেই ফেঁসে গেলেন। পুলিশ রিপন মিয়া (৩৩) নামের ওই যুবককে আটক করেছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর শাহপরান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।।
রিপন হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার তিমিরপুর এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে। বর্তমানে তিনি নগরীর শাহপরাণ থানাধীন উত্তর জাহানপুর এলাকায় বসবাস করছেন।
জানা যায়, সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে সিলেট নগরীর শাহপরাণ এলাকায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেন রিপন মিয়া। এসময় ফোনকলে তিনি দাবি করেন টিলাগড় সরকারি কলেজের সামনে আফজল ও তার সঙ্গীরা রিপনের মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। এই ফোনকলের পরে শাহপরাণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রিপনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী পুলিশ আশপাশে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে একটি গ্যারেজের সামনে সিকিউরিটি গার্ড জুনেদ মিয়াকে খুঁজে পায়।
এসময় জুনেদকে দেখে অভিযোগকারী রিপন তার উপর আক্রমণ করে ও বেধড়ক মারধর শুরু করলে পুলিশ তাকে নিয়ন্ত্রণে এনে উভয়কে থানায় নিয়ে আসে।
অভিযোগকারী রিপন মিয়া থানায় এসে জুনেদ মিয়া, আফজল এবং আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে লিখিত ছিনতাইয়ের অভিযোগ দাখিল করেন। তবে ওই সময় পুলিশ অভিযোগকারী রিপন মিয়ার বক্তব্য সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তদন্ত শুরু করে। তখন জানা যায়, রিপন ও আফজল মোবাইল ফোনে জুয়া খেলছিলেন এবং পাওনা টাকা নিয়ে হাতাহাতির একপর্যায়ে ওই স্থানের সিকিউরিটি গার্ড জুনেদ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধমূলকভাবে রিপন ৯৯৯-এ মিথ্যা ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে রিপন স্বীকার করেন, ‘কোনো ছিনতাই হয়নি এবং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই তিনি এই অভিযোগ করেন। পুলিশ নিশ্চিত হয় ঘটনাটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাজানো হয়েছিল। ফলস্বরূপ, ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায় রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ‘সিলেটে মিথ্যা ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে রিপন নামের এক যুবক নিজেই ফেঁসে গেছেন। এই ঘটনায় রিপনকে ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
মন্তব্য করুন