সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:::
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার
সিলেট সুনামগঞ্জ মহা সড়কের গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় সাদাপুলের ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে অটোরিকশার গ্যারেজে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে
স্বীকার করেছে ।
গত ১৩ জুন সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক হেলাল উদ্দিনের সামনে ওই জবানবন্দী দেন ওই ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী রুহুল আমিন আকাশ। তার জবানবন্দীতে রুহুল আমিন আকাশ গন ধর্ষনের ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছেন। তিনিসহ ৩ জন মিলে ওই কিশোরীকে পালাত্রুমে তার ওপর অমানবিক নির্যাতন করেছে।
গত ১১ জুন বিকেলে নির্যাতিত ওই কিশোরী বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় নারী ওশিশু আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। এর আগে ১০ জুন মঙ্গলবার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ সাদা ব্রিজের রাস্তা সংলগ্ন একটি আটোরিকশার গ্যারেজে এ অমানবিক এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মুল নায়ক মামলার প্রধান আসামী রুহুল আমিন আকাশ (৩০) নামের এক
মানুষরুপি জানোয়ারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
সে উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের দিগলী (রামপুর) গ্রামের মৃত নুর হোসেনের ছেলে।
গত ১২ জুন গোপন সংবাদের মাধ্যমে গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে অপর আসামী আব্দুর রহমান পাবেলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুজন আসামী আকাশ ও পাবেল এসব ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পর গনধর্ষনের বিভিন্ন আলামত আকাশের গ্যারেজে ভিতরে সাজানো একটি রুম থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। এখনো গাড়ি আটক করা হয়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ভুইগাঁও গ্রামের বাসিন্দা হত-দরিদ্র পরিবারের ওই কিশোরী সিলেট শহরের একটি বাসায় কাজ (বুয়া) করত। ওই কিশোরী বাড়িতে যাওয়ার জন্য সিলেট শহর থেকে বাসে ১১ জুন বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট এসে বাস থেকে নামে। এরপর ওই কিশোরী বাড়ি যাওয়ার জন্য গোবিন্দগঞ্জ থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠে।
গত ১০ জুন বিকালে এক আটোরিকশা চালক ওই কিশোরীকে ভুইগাঁও নিয়ে যাওয়ার কথা বলে
সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের গোবিন্দগঞ্জ সাদা ব্রিজের ছৈলা আফজলাবাদ ইউপির কালিদাস পাড়া সংলগ্ন রুহুল আমিন আকাশের আটোরিকশার গ্যারেজে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে আটকে রেখে ৩ জন মিলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ও অমানবিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যার পর ওই কিশোরীকে গ্যারেজ থেকে বের করে দেওয়ার পর ওই কিশোরী আবারও গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্টে চলে আসে। সেখানে ডিউটিরত পুলিশকে বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্যারেজ মালিক রুহুল আমিন আকাশকে আটক করে পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি এলাকার সংবাদকমীরা তৎপরতার কারনে পুলিশ ভিকটিমকে থানা এনে গত ১১ জুন বিকালে ওই কিশোরী থানায় উপস্থিত হয়ে তাকে গাড়ির গ্যারেজে ঢুকিয়ে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় বর্ণনা দিয়ে থানায় মামলা রুজু করেছে।
এ মামলার থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) রঞ্জন কুমার ঘোষ এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলে গনধষেন ঘটনায় তিন আসামীর মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ মামলার প্রধান আসামী রুহুল আমিন আকাশ গনধষেন ঘটনার জড়িত থাকার কথা দায় আদালতে স্বীকার করে জবানবন্ধি দিয়েছে। তার ৩জন মিলে কিশোরীর ওপর অমানবিক নিযাতন চালায়। ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন