ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
ছাতকে পৌর যুবলীগের সদস্য, ভুমিখেকো,জবর দখলকারি বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামী বদরুল আলমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
গত শুত্রুবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে থানা থেকে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত তার জামিন না মন্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। গত বৃহম্পতিবার রাতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে পৌর শহরের থেকে কুখ্যাত ভুমিখেকো পৌর যুবলীগের সদস্য বদরুল আলম (৪৩)কে গ্রেপ্তার করা হয়। সে পৌর শহরের ৯নং ওয়াডের বৌলা গ্রামের মৃত ইলিয়াছ আলীর ছেলে।
জানা যায়,পৌর যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে। সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের ব্যবসায়ি প্রধান সহযোগি বদরুল আলম। স্থানীয় এমপি মানিকের আশ্রয় প্রশ্রয়
পেয়ে সুরমা নদীর ছাতক থানার সামন থেকে কোম্পানীগঞ্জ টুকেরগাঁও সহ ৫টি স্থানে চলন্ত ভাসমান নৌকা আটকিয়ে চাঁদা আদায় করতেন। এসব ঘটনার পাশাপাশি সুরমা ও চেলা নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লুটপাট করতো একটি সিন্ডিকেডের মাধ্যমে। সরকারি জায়গা দখল,জাল জালিয়াতি দলিল তৈরি করে মন্ডলী ভোগ এলাকায়,৪৭৪ দাগের ভূমির ০২২ শতাংশ বাসা খালি জমি,লন্ডন প্রবাসী জাহানারা বেগমের বাসা দখল করেন রাতের আদারে এবিষয়ে জাহানারা বেগমের মামলা নং ১৭,তারিখ ১০/০৯/২০২০ইং তারিখে মামলা হয়। কিছু দিন জেল খাটেন । পৌর শহরের তার ১০টি তিন তলা বাড়ি রয়েছে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চাদাবাজি,জমি জবর দখল,জাল দলিল তৈরি করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
গত ১৫বছর আগে জিরো থেকে হিরো হয়ে শুন্য থেকে শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক বদরুল আলম। পৌর শহরে মন্ডলীভোগ মৌজায় সরকারি খাস ৩০ শত জায়গা দখল করে বিশাল মার্কেট নির্মাণ করেছে। তার বিরুদ্ধে সীমান্তের চোরাচালান মাদক ব্যবসাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। এ ব্যাপারে থানার ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে শুত্রুবার দুপুরে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন