হবিগঞ্জ প্রতিনিধি::
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে চলন্ত বাসে এক গার্মেন্টস কর্মীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৫ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে। বাস চালক ও হেলপার মিলে এ পাশবিক কাজ সংঘটিত করে। পরে ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয় জনতা বাসটি থামিয়ে দেয় এবং সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাস চালককে আটক করা হয়। তবে হেলপার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। তিনি রবিবার সকাল ১১টার দিকে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রামের বাড়ি বানিয়াচং যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি যাত্রীবাহী বাসে ওঠেন। তার শায়েস্থাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ায় শেরপুর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে শেরপুর থেকে যাত্রী মা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি লোকাল বাসে করে আউশকান্দির দিকে রওনা দেন। বাসটিতে প্রথমদিকে কিছু যাত্রী থাকলেও আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছানোর পর অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বাসটি ফাঁকা পেয়ে বাস চালক মো. শাহ্ সাব্বির (২৫) ও হেলপার লিটন মিলে চলন্ত বাসে ভুক্তভোগী নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের শিকার নারীর কান্না ও চিৎকারে আশপাশের লোকজন সজাগ হয়। তিনতালাব এলাকায় স্থানীয় জনতা বাসের গতিরোধ করে এবং চালককে আটক করে।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে সেনাসদস্যরা বাস চালককে আটক করে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে।
ভিকটিমকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “ঘটনার সাথে জড়িত বাস চালক শাহ্ সাব্বিরকে আটক করা হয়েছে। পলাতক হেলপার লিটনকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে।
আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং দোষীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হবে।”