সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ছাতক সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে গাছ কাঁটাকে কেন্দ্র করে
গত ১১ই,জুন বিকেলে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় (গত ১৫ জুন রবিবার)মোঃ কবির আলী (৭৭) বাদী হয়ে, ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের সিরাজুল সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ থেকে জানা যায় বাদী একজন টমটম গাড়ীর চালক বিবাদগণ, তাদের পাশের বাড়ীর লোক হয়। বিবাদীরা প্রায় সময় বাদীর পরিবারের লোকজনের অনুপস্থিতিতে বাড়ীর গাছ-পালা কাটিয়া নিয়া ক্ষতিসাধন করিয়া থাকে। গত ১১/০৬/২০২৫ইং বিকাল ২:৩০ ঘটিকার সময় বিবাদীরা তাদের বাড়ীতে প্রবেশ করিয়া বাড়ির দক্ষিণ দিকের একটি গাছ কাটিতে শুরু করিলে, বাড়ীতে থাকা বাদীর পুত্র বধু বিবাদীগণকে গাছ কাটিতে বাধা নিষেধ দিলে, বিবাদীগণ উত্তেজিত হইয়া তাহার পুত্রবধূ সাথে তর্ক বিতর্ক কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে সমূহ বিবাদীগণ তাহাদের বাড়ী হইতে লোহার রড, চুলফি, দা, লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বাদীর বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে তাহার পুত্রবধূকে ২নং বিবাদী চুলে ধরিয়া টানা হেঁছড়া করিয়া হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা এলোপাতারী ভাবে মারপিট শুরু করে।
এবং বাদীর বাড়ীর উঠানে মাটিতে ফেলিয়া টানা হেঁছড়া করে কাপড় চোপড় প্রায় বিবস্ত্র করে শ্লীলতা হানি ঘটায়। এরপর ২নং বিবাদী বাদীর ঘরে প্রবেশ করিয়া ঘরে থাকা মিসরিফের ড্রয়ের হতে হইতে ১৯,০০০/- টাকা নিয়া যায়।
এতে পুত্রবধূ আত্ম রক্ষায় চিৎকার দিতে থাকিলে, চিৎকার শুনিয়া জখমী মহিলার স্বামী এমরান হোসেনসহ অন্যান্য সাক্ষীগণ ঘটনাস্থলে দৌড়াইয়া আসিয়া বিবাদীগণকে বাধা নিষেধ দিলেও বিবাদীগণ বাধা নিষেধ অমান্য করিয়া মাটিতে পড়ে থাকা জখমী ১নং সাক্ষীনি মহিলাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে ১নং বিবাদী বুক লক্ষ্য করিয়া চুলফি দ্বারা ঘাই দিলে ১নং সাক্ষীনি আত্ম রক্ষার্থে সরিয়া যাওয়ার চেষ্টা করিলে উক্ত ভুলফির ঘাই ১নং সাক্ষীনির বাম চোখের উপরে পড়িয়া চোখ নষ্ট হইয়া যাওয়াসহ গুরুতর রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হয়।
এরপর আশপাশের লোকজন এসে
আহত মহিলাকে ছাতক সরকারী হাসপাতালে নিয়া গেলে, প্রাথমিক চিকিৎসার পর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, দায়িত্বরত চিকিৎসক জখমী মহিলাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।
ছাতক থানার এসআই মনজুরুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলতেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।