মোঃ মীরজাহান মিজান
বিশেষ প্রতিনিধি, জগন্নাথপুর
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ধর্বপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং এলাকায় সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রতিবেশী ও মামলা সংক্রান্ত সূত্রে জানা গেছে, মৃত সাজিদ উল্লার পুত্র মো. গৌছ উদ্দিন এবং মৃত মনু মিয়ার পুত্র জমির মিয়া গংদের মধ্যে এসএ ১০৯৩ ও ১০৯৩/২ নম্বর দাগের ৬৮ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি নিয়ে মো. গৌছ উদ্দিন বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি বিবিধ মামলা (মামলা নং- ২৪২/২০২৫) দায়ের করলে, আদালত উভয় পক্ষকে নিজ নিজ অংশে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার নির্দেশ দেন।
তবে অভিযোগ রয়েছে, আদালতের সেই আদেশ লঙ্ঘন করে জমির মিয়া গং জোরপূর্বক ওই জমিতে পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করেছেন। মো. গৌছ উদ্দিন বলেন, “আমার পৈতৃক ও দখলীয় জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষ দালান নির্মাণ করছে। আমরা বারবার পুলিশকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।”
স্থানীয় থানার এএসআই হুমায়ুন কবীর ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে নোটিশ দিলেও, অভিযোগ রয়েছে তিনি বিবাদীপক্ষকে মৌখিকভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য নয়। আদালতের আদেশ অনুযায়ী নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। উত্তেজনার মধ্যে অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি হয়।”
অপরপক্ষের জমির মিয়া ও শওকত মিয়া দাবি করেন, “মামলা আমাদের পক্ষে রয়েছে। গৌছ উদ্দিন বিনা কারণে আমাদের হয়রানি করছে। আমরা মালিকানার ভিত্তিতেই নির্মাণ কাজ করছি।”
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া জানান, “আদালতের আদেশ মোতাবেক যথাযথভাবে নোটিশ জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, দ্রুত প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।